Skip to main content

কাপুরুষ/Coward

Coward, Sad lover
Sad lover


(এই গল্পটা সম্পূর্ণ আমার কল্পনা প্রসূত।যদি কোনো ব্যক্তির জীবনের সাথে এই গল্পের মিল থাকে, তাহলে আমি কোনো ভাবে দ্বায়ী নই।)
  এখন রাত্রি আট'টা।শ্রাবণী আকাশকে সমানে ফোন করেই চলেছে।আকাশ ফোনটা রিসিভ না করে,মনটাকে  শক্ত করে ধরে তার খাটে বসে আছে।
    বারান্দা থেকে আকাশের মা বলল-"আকাশ ফোনটা ধরছিস না কেনরে?"
"হ্যাঁ, মা ধরছি"-এই বলে আকাশ ফোনটা Switch off করে দিল।
   প্রায় রাত্রি এগারোটায় শুতে যাওয়ার সময়,আকাশ ফোনটা On করলো।সঙ্গে সঙ্গে দুটো Sms এল আকাশের মোবাইলে।একটা Compani'র, অপরটি শ্রাবণীর।
   আকাশের ফোনটা Switch off পাওয়ায়, শ্রাবণী তাকে একটা ছোটো Sms পাঠিয়ে ছিল।Sms টা পড়ে আকাশের চোখে জল এসে গেল।এক লাইনের এই Sms টা হল-" Akash tumi akta Kapurush."(আকাশ তুমি একটা কাপুরুষ।)
   আকাশের সাথে শ্রাবণীর পরিচয় কলেজে।তারপর বন্ধুত্ব এবং বন্ধুত্ব গাঢ় হলে প্রেম।
   প্রায় দু'বছর হল শ্রাবণীর বিয়ে হয়েছে।কলেজ চলা কালিনই শ্রাবণীর বিয়ে হয়।তার একটা ৮-১০ মাসের মেয়ে আছে।
   প্রেমিকার বিয়ে হলে,প্রেমিকের যে কি অবস্থা হয়,তা বোধ করি পাঠকের জানা।তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত লেখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি না।তারপর আকাশের আর গ্রাজুয়েট (B.A)Complit হয়নি। অনেক টালমাটাল অবস্থা দিয়ে যাবার পর,সে এখন একটা ছোটো Compani-তে  কাজ করে।এবং শ্রাবণীর চলে যাওয়াটাকে সে প্রায় মেনে নিয়েছে।
   আজকের এই ঘটনার সূত্রপাত,প্রায় মাস তিনেক আগের এক সন্ধায়। সেদিন আকাশের ফোনে একটা কল এল।নাম্বারটা সেভ না করা থাকলেও,আকাশের চিনতে অসুবিধা হল না,যে এটা শ্রাবণীর নাম্বার।
   সেদিনে আকাশের প্রশ্ন ছিল- কেমন আছো,তোমার মেয়ে কেমন আছে,তোমার বর কী করে,তুমি রান্না করো ইত্যাদি।
   অপর দিকে শ্রাবণীর প্রশ্ন ছিল-কেমন আছো,কি করছো,নতুন G.F এর খবর কি ইত্যাদি।
   এই সন্ধ্যার পর আকাশ ও শ্রাবণীর প্রায় ফোনে কথাবার্তা চলতো।এছাড়াFacebook, Whatsapp তো আছেই।
   আকাশ লক্ষ্য করলো-শ্রাবণীর সাথে ফোনে কথা বলাটা তার যেন নেশাই পরিনত হয়েছে।তাছাড়া Whatsapp-এ শ্রাবণীর Sms না থাকলে তার মনটা খারাপ হয়ে যায়।
   আকাশ ভেবে দেখল এই ব্যাপারটা দুজনের পক্ষেই খারাপ।তাই সে Facebook, Whatsapp বন্ধ করলো।এবং ফোনে কথা বলাটাও এড়িয়ে যেতে থাকল।
কিন্তু কাল সন্ধ্যায় শ্রাবণী, আকাশকে ফোন করেই বলল-"আকাশ আমি তোমাকে ভুলতে পারছিনা।তুমি আমাকে যেমন করেই হোক তোমার কাছে নিয়ে চলো।"
   আকাশ শ্রাবণীর কাছে এই কথাটা প্রত্যাশা করেনি।তাই সে একটু অবিচলিত হয়ে পড়ল।কিন্তু আকাশ বুদ্ধি না হারিয়ে পরক্ষনে বলল-কাল স্নন্ধ্যায় ফোন করে জানাবো।এই বলে সে ফোনটা কেটে দিল।
   শ্রাবণীর এই প্রস্তাবে আকাশ আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ল।কারন এবার সে শ্রাবণীকে নিজের করে পাবে।
   আকাশ মনে মনে বলল-"আমার কোনো লজ্জা নেই,ভয় নেই।আমি আমার শ্রাবণীকে আমার কাছে আনবোই।
   আজ সকাল থেকেই আকাশের মনটা দ্বিধাগ্রস্ত। কাল রাতের স্বপ্নাটা মনে পড়লেই আকাশের শরীরটা এখনও বমি বমি করে উঠছে।
   স্বপ্নে  আকাশ শ্রাবণীর সারা শরীরটাকে যেন দেখতে পেয়েছিল।সে দেখেছিল- শ্রাবণীর সমস্ত শরীরে তার স্বামীর ছাপ।
   আকাশ চা খেতে খেতে মনে মনে বলল-"না না এরকম একটা দেহকে আমি আপন করতে পারবো না।"আবার পরক্ষনে আকাশের ভাবনার পরিবর্তন ঘটল।সে মনে মনে বলল-" শ্রাবণী আমার কাছে সব সময়ই পবিত্র।আমি তাকে ভালোবাসি।"
   অফিস ফেরৎ আকাশ নিজের ঘরে চুপ করে বসে আছে।এখন তার চোখে আজকের সংবাদ পত্রের একটা হেডলাইন ভাসছে-" অবৈধ সম্পর্কে ফাটল, আত্মহত্যা"।
   এ সকল কথা ছাড়াও আকাশ শ্রাবণীর মেয়ের কথা ভাবল।আকাশ দেখল শ্রাবণীর সথে সে যদি সম্পর্ক তৈরি করে,তাহলে একটা বচ্চার ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে।
   আকাশ চোখ বন্ধ করে ভালো ভাবে ভাবতে লাগলো,যে তার কি করা কর্তব্য।এবং শেষমেস সে এই সিদ্ধান্ত নিল যে,সে আর শ্রাবণীর সাথে কোনো সম্পর্ক রাখবে না।
   আর এই সব  ঘটনার পরই, আজকে শ্রাবণীর এই Sms.
   আকাশ যে মেয়েকে ভালোবাসে,যে মেয়ে তার স্বপ্নে, তার কল্পনায়, আর তার কাছেই সে আজ "কাপুরুষ"।
   কিন্তু এসব ভাবনা আকাশের মনে আর প্রাধান্য পেল না।তার মনে শুধুই প্রাধান্য পেল-"একটা ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ের ভবিষ্যৎ।"
...................................................................
English translation -
(This story is completely based on my imagination. If this story is similar to a person's life, then I am not responsible in any way.)
   Now it is eight o'clock at night. Shravani is calling Akash equally. Akash is not receiving the call, he is sitting on his bed holding his mind tightly.
     Akash's mother said from the balcony- "Akash, why aren't you holding the phone?"
"Yes, I'm holding my mother" - Akash switched off the phone.
    At about eleven o'clock at night, while going to bed, Akash turned on the phone. Simultaneously, two sms came to Akash's mobile.
    When Akash's phone got switched off, Sraboni sent him a short SMS. After reading the SMS, tears came to Akash's eyes. This one line SMS is - "   You are a coward."
    Sraboni's acquaintance with Akash is in college. Then when friendship and friendship are strong, love.
    Sraboni has been married for almost two years. She got married while going to college. She has an 8-10 month old daughter.
    If the lover is married, I think the reader knows what happens to the lover. So I do not feel the need to write about it in detail.  After going through a lot of turmoil, he now works in a small company. And he has almost accepted Sraboni's departure.
    The beginning of today's event, one evening about three months ago.  A call was made to Akash's phone that day. Although the L number was not saved, Akash did not have any difficulty in recognizing that it was Sraboni's number.
    Akash had questions that day - how are you, how is your daughter, what does your groom do, you cook and so on.
    On the other hand, Sraboni's question was - how are you, what are you doing, what is the news of the new G.F.
    After this evening, Akash and Sraboni used to talk on the phone. Besides, there is Facebook and Whatsapp.
    Akash noticed that talking to Sraboni on the phone has become an addiction for him.
    Akash thought this was a bad thing for both of them. So he stopped Facebook, Whatsapp. And he also avoided talking on the phone.
But yesterday evening, Sraboni called Akash and said, "Akash, I can't forget you. Take me to you anyway."
    Akash did not expect this from Sraboni. So he became a little unsteady. But Akash did not lose his mind and immediately said - I will call you tomorrow evening. Saying this, he hung up the phone.
    Akash was overwhelmed with joy at this proposal of Sraboni. Because this time he will get Sraboni as his own.
    Akash said in his mind- "I have no shame, no fear. I will bring my Sravani to me.
    Akash's mind has been hesitant since this morning.  As soon as I remember last night's dream, Akash's body is still vomiting.
    In the dream, Akash seemed to see the whole body of Sravani. She saw - the impression of her husband on the whole body of Sravani.
    While drinking tea, Akash said in his mind- "No, no, I can't own such a body." After a while, Akash's thoughts changed. He said in his mind- "Sravani is always sacred to me. I love her."
    Back in the office, Akash is sitting quietly in his room. Now a headline of today's newspaper is floating in his eyes - "Crack about illegality, suicide".
    Apart from all these words, Akash thought of Sravani's daughter. Akash saw that if he formed a relationship with Sravani, then the future of a child could be ruined.
    Akash closed his eyes and began to think well of what he should do. And at last he decided that he would no longer have any relationship with Shravani.
    And after all these incidents, today this SMS of Sravani.
    The girl that Akash loves, the girl in her dreams, in her imagination, and to her she is "cowardly" today.
    But these thoughts did not prevail in Akash's mind anymore. He only prevailed in his mind - "The future of a cute baby girl."

Comments

Popular posts from this blog

একটা গোলাপ গাছের কথা

A sad Rose tree একদা এক সময় এক গভীর জঙ্গলের মধ্যে একটি গোলাপ গাছের চারা বেড়ে উঠছিল। গোলাপ গাছ সাধারণত বাড়ির বাগানে,নার্সারিতে অথবা বাড়ির ছাদে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য লাগানো হয়। কিন্তু এক সময় এক ব্যক্তি একটি গোলাপ গাছ কে তার স্বাধীনতা উপলব্দি করানোর জন্য তার বাড়ির বাগান থেকে তুলে একটা গভীর জঙ্গলে গাছটি রোপন করেছিল। গাছটির চারপাশে ছিল অনেক বৃক্ষ গাছ যা গাছটিকে রোদ ঝড় জল থেকে রক্ষা করত। গাছটি সঠিক তাপমাত্রা বেড়ে উঠতে লাগলো।গাছটি যখন ডালপালা ছেড়ে সুন্দরভাবে একটু বেড়ে উঠলো তখন গাছটির মনে ইচ্ছা হল যে "আমার ফুল কত দামী কত সুন্দর আমার মত একটা দামি ফুলের গাছ এই ঘন জঙ্গলের মাঝে মানায় না আমি যদি কোন বাড়ির বাগানে অথবা ছাদে বেড়ে উঠতাম তাহলে আমার জীবনটা ধন্য বলে মনে করতাম। গাছটা এই চিন্তায় সারাদিন মগ্ন থাকত। এবং সর্বদা নিজের থেকে অন্য গাছেদের ছোট বলে মনে করত। এই ভাবেই তার দিনগুলো কাটছিল অহংকার এবং উদাসীনতা নিয়ে।হঠাৎ একদিন ফরেস্ট অফিসার রা জঙ্গল পরিক্রমণ করতে এলো। তখন এই গোলাপ গাছটি এক অফিসারের চোখে পড়ল । সে ঐ গোলাপ গাছটিকে যত্নসহকারে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার বাড়ির ছাদে একটা টবের...

বিশ্বকবি রবি ঠাকুর

Rabindranath Tagore                                                                                     সবাই বলে ‌‌ জ্ঞানের ঠাকুর নামটি তোমার রবি তাই তো তুমি জগৎ জুড়ে সবার বিশ্বকবি । গ্রামের নামটি জোড়াসাঁকো তোমার জন্মভূমি , ধন্য তোমার লেখার আবেগ দুই বিঘা জমি ।। তোমায় বর্ণন করতে গিয়ে ছন্দ ভুলি আমি , তোমাকে লেখার ক্ষমতা থাকা নয় কি অনেক দামী ? তুমি লিখেছো হাজার কবিতা , হাজারো প্রবন্ধ , গান , " শেষের কবিতা   " সোনার তরী " আর লিখেছ " প্রাণ " । " পৃথ্বীরাজএর পরাজয় " তুমি লিখেছিলে ছোট্ট রবি , তাই তো ত...

সমাজ মেলা

  বর্তমানের সমাজ মেলা  ভালো মন্দ কত খেলা সেই খেলা তে আমার ভাগ  সব ঘটলেও কিছুটা থাক ।।নানা রঙের দিন শুরু হয় ভোরের পাখির গানে , ভ্রমর এসে গান গেয়ে যায়  ফুলের কানে কানে  হালকা হাওয়ায় ভেসে এসে, ফুল কে ভ্রমর বলে  কেনো তুমি ঝরে পর সমাজ পদ তলে ? ভ্রমর কে ফুল হেসে বলে একটা কথাই জানায়,, ভালো মন্দের সমাজ মেলায়  কেউ বা থাকে কেউ বা নাই।।